পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সালমা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ। ঘটনার পর ছোট ২ শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিল সালমা বেগম ও আরেক শিশু সাহাবীর।
একদিন পর সাহাবীরকে (৭) মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া থানা পুলিশ। সোমবার (৬ নভেম্বর) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার কীর্তিনাশা নদীর খেয়াঘাট থেকে সাহাবীরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার সাহাবীর একই এলাকার আজবাহার মাদবরের ছেলে। এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) জীবিতভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল আনিকা (৩) ও জাফরকে (১)। নিখোঁজ সালমা বেগমকে উদ্ধার করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার লোকমান ছৈয়ালের মেয়ে সালমা বেগমের সাথে বিয়ে হয় জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে আজবাহার মাদবরের সাথে। বিয়ের পর থেকেই সালমা বেগমের শাশুড়ি মিলি বেগম ও ননদ কলির সাথে বনিবনা হচ্ছিলো না।
এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত শনিবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হলে তিনি গত রোববার তিন সন্তান নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন।
নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, সকাল ১১ টার দিকে নিখোঁজ থাকা শিশু সাহাবীরকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ সালমা বেগমকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে।
টিএইচ